চীনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ড্রোন কারখানা স্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৭
চীনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ড্রোন কারখানা স্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তির মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) বা ড্রোন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। এটি দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প সক্ষমতায় একটি বড় মাইলফলক হবে।

এর পাশাপাশি চীন বাংলাদেশে একটি বিমান ওভারহলিং কেন্দ্র স্থাপনেরর প্রস্তাবও দিয়েছে।

সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে এ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে, যার কপি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড দেখেছে।

বিডার সভায় বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপন, সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ব্যবহার্য পণ্য অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের জন্য এ খাতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুই বছর আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যারোনোটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে নিজস্ব নকশা অনুসারে চারটি বিমান তৈরি করা হয় এবং সফলভাবে উড্ডয়ন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের প্রশিক্ষণ বিমান নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করা এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে স্পোর্ট এয়ারক্রাফট উৎপাদন।

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে বিমান সম্পর্কিত সরঞ্জামাদির অনেক চাহিদা আছে। দেশের জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিতভাবে কাজ করলে এভিয়েশন খাতে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে।

বিমান ওভারহলিং

চীনের বিমান ওভারহলিংয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে একজন কর্মকর্তা সভায় বলেন, বিমানবাহিনীর বিদ্যমান সক্ষমতা ও জনবলের সঙ্গে কিছু সরঞ্জামাদি যুক্ত করে ব্যবহৃত বিমানের ইঞ্জিনের ওভারহলিং করা সম্ভব।

‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও একই মডেলের বিমান এবং বিমানের ইঞ্জিন জনপ্রিয় হওয়ায় এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে,’ বলেন তিনি।