জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল-গান পাউডার উদ্ধার মামলায় পুলিশের কারসাজি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৯:২৪
জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল-গান পাউডার উদ্ধার মামলায় পুলিশের কারসাজি

জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান: সোহেলকে বাঁচিয়ে প্রতিপক্ষের নামে মামলা, প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় তার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কী ঘটেছিল অভিযানে

গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে সেনা ও পুলিশ যৌথভাবে ক্যাম্পে অভিযান চালায়। এ সময় সোহেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়—

  • নগদ ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা,

  • টাকা গণনার মেশিন,

  • ১৩টি তাজা ককটেল,

  • ২৫টি আধা প্রস্তুত ককটেল,

  • ৪০০ গ্রাম গানপাউডার,

  • দেশি অস্ত্র-শস্ত্র ও মাদকদ্রব্য।

অভিযান শেষে সব জব্দকৃত মালামাল পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। টাকা ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সোহেল ও তার সহযোগীদের আসামি করে মামলা হলেও বিস্ফোরক উদ্ধারের মামলায় তার নাম রাখা হয়নি।

মামলা নিয়ে বিতর্ক

অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুনিয়া সোহেলকে এ মামলায় বাদ দেওয়া হয়েছে। বরং প্রতিপক্ষ চুয়া সেলিম ও তার গ্রুপের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। এমনকি নিরপরাধ কাপড় ব্যবসায়ী মো. সারওয়ারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া সেনা কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, জব্দ তালিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে ককটেল ও বিস্ফোরক সোহেলের বাসা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। তালিকায় স্বাক্ষর করে তা থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের ব্যাখ্যা

মোহাম্মদপুর থানার এসআই ওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি অভিযানে ছিলাম না। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলার বাদী হয়েছি। টাকা ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সোহেল ও তার গ্রুপকে আসামি করা হয়েছে। বিস্ফোরক মামলায় সেলিম গ্রুপকে আসামি করা হয়েছে।”

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ইবনে মিজান বলেন, “মাদক ব্যবসায়ীদের কাউকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। দুই গ্রুপের নামে আলাদা মামলা হয়েছে। তবে যদি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি জড়িয়ে পড়ে থাকে, তদন্তে তা বাদ দেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ

ক্যাম্পবাসীদের অভিযোগ, থানা পুলিশ নিয়মিত টাকার বিনিময়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখে। যারা প্রতিবাদ করে বা মুখ খোলে, তাদের বিরুদ্ধেই উল্টো মামলা দেওয়া হয়।