বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ নিয়ে যা জানালেন তারেক রহমান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৪০
বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ নিয়ে যা জানালেন তারেক রহমান

বিগত সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা, আদালত, প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জিনিসকে ভেঙেচুরে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎও নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক সভায় ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, বিগত সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে তারা দেশের অর্গানগুলোকে ব্যবহার করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এ থেকে উত্তরণে আমাদের একটা অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছি ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’।

একটা দল চাইলেই সব কিছু ভালো করতে পারবে এমন না, ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। তবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে দেশের মানুষ যতবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে, ততবারই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তখন তিনি একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তা ছিল খাল খনন প্রকল্প। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এর পেছনে অনেক কারণ ছিল। খাল খননের মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, আরেকদিকে ফসলের সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিছিলেন। এর ফলে যে জমিতে একটি ফসল হতো, সেখানে দুটি ফসল হওয়া শুরু করলো শুধু পানি সরবরাহ ঠিকভাবে করার কারণে।

এজন্য তার আমলের আগে বাংলাদেশ যেখানে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, জিয়াউর রহমানের আমলে সেখানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। সেইসাথে, অল্প পরিমাণ হলেও আমরা বিদেশে রফতানি করতেও সক্ষম হয়েছিলাম। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে খাল খননের কাজ আবার শুরু করা হবে।

প্রবাসীদের নিয়ে তারেক রহমান বলেন, আজকে আমরা দেখি প্রায় দেড় কোটির কাছাকাছি মানুষ বিদেশে, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে অর্থ পাঠান। যা দিয়ে দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের চাহিদা পূরণ করা হয়। এই যে জনশক্তি রফতানি, এর উপায় প্রথম বের করেছিলেন জিয়াউর রহমান, যখন তিনি দেশ পরিচালনা করছিলেন। আমরাও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, এই মানুষগুলোকে যদি সঠিকভাবে ট্রেনিং দেয়া যায় তা অনেক কাজে লাগবে।

তিনি আরও বলেন, যেই ৮ থেকে ১০ লক্ষ অদক্ষ মানুষ বিদেশে যাচ্ছে তাদেরকে আমরা ভ্যালু এড করে, ১৫ থেকে ২০ লক্ষ করতে চাই। এই মানুষগুলো যেন ধীরে ধীরে ভালো কাজ করতে পারে। অর্থাৎ এখন যদি তাদের একটি ভাষার কোর্স করানো হয় বা ট্রেনিং দেয়া হয়, তাহলে যেখানে তারা ১০০ ডলারের বেতন পায়, সেটা বেড়ে ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। আর এতে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণও বেড়ে যাবে।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল আয় নিয়ে বলেন, পেপালের সাথে কথা হয়েছে। আমরা অলরেডি একটা টিমের সাথে কথা বলেছি। অনেক তরুণ আছে যারা বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে, কিন্তু সঠিক প্ল্যাটফর্মে তা দিতে পারছে না। এর ফলে তাদের আয় অনেক কম হচ্ছে। আমরা যদি তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় পলিসি করি, পেপাল, গুগল, মেটাসহ ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস এখানে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যারা আছে, তাদের ইনকাম অনেক বেড়ে যাবে।

এ সময়, ঢাকা শহরসহ সারা দেশের বায়ুদূষণ রোধে বৃক্ষরোপণের কথা জানান তিনি। সেইসাথে, দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার কথাও বলেন। অপরদিকে, প্রাইমারি শিক্ষকদের যথাযথ ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আরো দক্ষ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।