এএসপি পলাশের আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণে যা জানা গেলো…

বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রকাশ: ৭ মে, ২০২৫, ৪:০৩
এএসপি পলাশের আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণে যা জানা গেলো…

চট্টগ্রামে নিজ কার্যালয়ে নিজে গু’লি করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার আ’ত্মহ’ত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস ৩৭ তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

বুধবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম র‍্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

ওই চিরকুটে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার মৃ’ত্যুর জনা মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্ব’র্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্ব’র্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।‬‎’

বুধবার চান্দগাঁও ক্যাম্পের সবাই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি নিজ কার্যালয়ে নিজে গু’লি করে আ’ত্মহ’ত্যা করেন।

পরবর্তীতে এএসপি পলাশের মেঝ ভাই নন্দ লাল শাহ্ এর কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,

 আজ সকালে পলাশের  স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পলাশের মায়ের গায়ে হাত তুলেন, থামাতে গিয়ে স্ত্রীর হাতে মার খেতে হয় পলাশকেও, পরে অফিসে এসেই করেন আত্মহত্যা!

পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা যুক্ত করে জানান, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশের বিবাহ হয়। বিয়ের ৬/৭ মাস পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পরিবারে ঝামেলা করতেন। মা আরতি সাহা ছেলে পলাশের সংসারে চট্টগ্রামে থাকেন। এটা পলাশের স্ত্রী মেনে নিতে পারতেন না। তিনি সব সময় শাশুড়িকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পলাশকে চাপ দিতেন। পলাশ মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইতেন না। পলাশ মা ও স্ত্রী দুইজনকেই ভালোবাসতেন।

নন্দ লাল সাহা বলেন, ‘‘আজ বুধবার (৭ মে) সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা আরতি সাহা ও ভাই পলাশ সাহার গায়ে হাত তোলেন সুস্মিতা সাহা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আমার ভাই। আর এ কারণেই আমার ভাই পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’’

উল্লেখ্য, পলাশ সাহা অসম্ভব মেধাবী ও পারদর্শী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত সর্ব মহলে । অনেকগুলো সরকারি পরিক্ষাতেই ১ম শ্রেণীর চাকরিতে প্রথম সারিতে থাকতেন , সর্বশেষ ৩৭ বিসিএস এ পুলিশের এএসপি হিসেবে যোগদান করেন । সহকর্মীদের মতে, এতোটা স্মার্ট, বাস্তববাদী আর সদা হাস্যোজ্জ্বল ছেলে এভাবে চলে যাবে ভাবতেই পারছেন না তারা।