২০ মাসে ৩০ প্রাণহানি, যান্ত্রিক ত্রুটি আর অরক্ষিত ক্রসিংয়ে আতঙ্ক
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৩
রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল সমস্যার মূলে রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের পুনর্ব্যবহার।
২৬ জুলাই বোয়ালখালীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি কোচ বিচ্ছিন্ন হয়। ৫ জুন কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে মারা যান দুইজন। চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে পটিয়া এলাকায় পর্যটন এক্সপ্রেসের লোকোমোটিভের বাফার ভেঙে যায়।
কোথাও গেটম্যান বা সিগন্যাল নেই। ফলে গাড়ি ও রিকশা সরাসরি ট্রেনের লাইনে উঠে আসে। যান্ত্রিক ত্রুটিও স্পষ্ট—২০২৪ সালের এপ্রিলে লোহাগাড়া–চকরিয়া অংশে রেললাইন ভেঙে গিয়ে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো হয়।
কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তারা এসব দুর্ঘটনাকে “মানুষের অসচেতনতা” বলেই দায় এড়ান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সব লেভেল ক্রসিং রক্ষিত করা, নতুন যন্ত্রাংশ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নিয়মিত অডিট ছাড়া এ আতঙ্কের শেষ নেই। যাত্রীদের প্রশ্ন একটাই—আর কত প্রাণহানি হলে জবাবদিহি হবে?


আপনার মতামত লিখুন